প্রথম রেলগাড়ির ভয়
সায়ন জানা
হটাৎ খবর শুনে আমি
জানালার পাশে একটু থামি ।
চলছিল কথা উচ্চস্বরে—
কানে শুনে মাথা ঘুরে ;
বলল সবাই ; কোথায় যাবে ?
সুন্দরবনে , সে তো বাঘে খাবে ।
ওখানে না হয় নয়
দিঘা যেতে ঠাম্মি কয় ।
তোরা যা ঘুরে আয় —
এবার সবাই দেয় শায় ।
ঠিক হল যাবে ট্রেনে —
বলে কি ! সেটাতো যায়না থেমে ।
বিপদ হল বটে ,
চলছিল মতলব আমার ঘটে ।
আমি গিয়ে বললাম সবারে —
যেও না ট্রেনে চড়ে—
শুনলনা কেউই আমার কথা ,
তাই আমি পেলাম ব্যাথ্যা ,
ছাড়িনি তবুও আমি
বললাম যাওয়াটা কি খুবই দামি ?
কানটি ধরে বলল ঠাম্মি —
যাওয়ার সময় অজুহাত অমনি ।
যাবি যা না হয় নয় —
ব্যঘরা দিলে মারতে কয় ।
ভয়ে আমি গুটি-শুটি
ট্রেনের কথা শুনেছি মোটামুটি ।
উঠতে গেলে খুব সাবধান
যেতেও পারে আমার জান ।
তবু আমায় যেতে হল
ট্রেনে উঠে সবাই বলল ,
তুই কেবলই ভীতু ,
তাই তো বকা দিই শুধু —
কি বল ! কেমন আনন্দ
মনে আমার চলছে মন্দ ।
এই যেন পড়ে গেলাম
হটাৎ দিচ্ছে নীল সেলাম
ভয়টা আমার একটু কমেছে —
সব ভাবনা মুছে গেছে ।
ট্রেনের শব্দ ঝমা-ঝম
আনন্দ বেশি , ভয় কম ।
যদি আমি না আসতাম ,
মনটা আমার বলত থাম ।
এবার কোনো নেই পিছুটান ,
যাবে না তার মান-সম্মান ।
আমি আর হবনা ভীতু —
রসিক করে বলবে না চিতু ,
সত্যি ট্রেনে মজা আছে ভাই
তাই তো আমি ছুটে যাই ।
তোমরা সবাই চড়বে কিন্তু
তোমাদের ভাই আমি সন্তু ।
সমাপ্ত